Prothom Alo home icon
Login

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

Get it on

Google Play

Download on the

App Store


বাংলাদেশ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে’ হামলাকারীদের বিচার দাবি

প্রতিবেদক: BS Software

আপডেট: ৪৭ দিন আগে


Article Image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯ সালে ‘উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে’ হামলাকারীদের বিচারের দাবি এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে সংহতি সমাবেশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর ব্যানারে এ সংহতি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ছাত্রলীগকে বড় অঙ্কের আর্থিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ এনে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। আড়াই মাসব্যাপী চলা ওই আন্দোলনে ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালান ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ জন শিক্ষকসহ অন্তত ৩৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন। 



সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের একাংশের সহসভাপতি আশফার নবীনের সঞ্চালনায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাবেক ছাত্রনেতারা বক্তব্য দেন।

সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের একাংশের সভাপতি অমর্ত্য রায় বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে ঠিক এই দিন আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে যখন আন্দোলন করেছিলাম, ছাত্রলীগ যখন হামলা করে, তখন আমাকে বলেছিল শিবির। আমি সনাতন ধর্মের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও আমাকে যখন শিবির বলা হয়। আমাকে যখন শিবির ট্যাগ দেওয়া হয়। তখন বোঝাই যায় আওয়ামী লীগ ট্যাগের রাজনীতি করত। যাকেই তাদের অপছন্দ, যেই তার মতের বিরুদ্ধে যাবে, তাকেই ট্যাগ দিয়ে মারতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জামালউদ্দিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব আন্দোলন হয় সেগুলো কীভাবে দমানো হয়, তার একটা ন্যক্কারজনক অধ্যায় ছিল ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর। তৎকালীন প্রশাসনে যাঁরা ছিলেন, তথা আরও কিছু শিক্ষক, ছাত্রসংগঠন যারা দাপিয়ে বেড়িয়েছে, তাদের মাধ্যমে আমরা নিপীড়নের শিকার হয়েছিলাম।’ তিনি বলেন, ‘এ রকম বিচারের দাবিতে আমরা আগেও দাঁড়িয়েছি। কিন্তু আমরা খুব আশ্চর্য হই, যাদের নিয়ে আমরা আন্দোলন–সংগ্রাম করেছি, তারা পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে একটা সুন্দর মুক্ত পরিবেশে সবার চাওয়ার মধ্য দিয়ে প্রশাসনে এসেছে। তাদের প্রায়োরিটিতে (অগ্রাধিকার) সে বিষয়গুলো আসছে না।’

দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘২০১৯ সালে যারা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় জড়িত ছিল, তাদের বিচার এখনো কার্যকর করা হয়নি। হামলায় যেসব শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত হয়েছিলেন, তাঁরা এখনো সেই ট্রমা থেকে বের হয়ে আসতে পারেননি। হামলাকারীদের বিচার হওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ আমরা এই ক্ষত নিয়ে থাকতে চাই না। হামলায় যেসব শিক্ষার্থী জড়িত ছিলেন, তাঁদের সনদ বাতিল করতে হবে এবং তাঁদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে হামলায় যেসব শিক্ষক জড়িত ছিলেন, তাঁদেরও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের প্রকাশ্যে আসার বিষয়ে রায়হান রাইন বলেন, ‘গণ–অভ্যুত্থানের পর এই প্রশাসনের মাধ্যমেই ক্যাম্পাসে ধর্মীয় গোষ্ঠীর উত্থান হয়েছে। ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের উত্থানকে আমাদের ঠেকাতে হবে। কারণ একসময় একটি খুনের ঘটনার পর থেকে তারা নিষিদ্ধ ছিল। ছাত্রলীগ যে কাজগুলো করে নিষিদ্ধ হয়েছিল, ঠিক একই রকম একটি কাজ করে তারা নিষিদ্ধ হয়েছিল। ২২টি সংগঠন তাদের নিষিদ্ধ করেছিল। খুনের ব্যাপারটা সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তারা কীভাবে রাজনীতি করতে পারে, এই বিষয়টি শিক্ষার্থী ও প্রশাসনকে দেখতে হবে।’

বাংলাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন



অনুসরণ করুন

logologologologologo

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

Get it on

Google Play

Download on the

App Store